• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

অপরাধ

রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুলের বিরুদ্ধে দ্রুত অনুসন্ধান ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৯ নভেম্বর ২০২৩

জমিবন্ধক রেখে ফার্স্ট সিকিউরি টিইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা থেকে ২৭০কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। জালিয়াতি করে ব্যাংকের নিকট বন্ধকী থাকা সেই জমিও ২০২২ সালের বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি।ফলে, বিপাকে পড়েছেন ব্যাংক ও জমির ক্রেতা উভয়।

বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলা হয়।আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকরে সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ড. সূফি সাগর সামস বলেন, গত জুন মাসে জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করা জমির দলিল বন্ধক রেখে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা থেকে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জনগণের ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অথচ রফিকুল ইসলাম ২০২২ সালের শেষ দিকে এসব জমি বিক্রি করে দেন। ঋণের টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হয়েছে, তা কিছুই জানে না ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ব্যাংক থেকে তিন দফায় এসব অর্থ ছাড় করা হলেও প্রথমও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা কোথায় বিনিয়োগ হয়েছে সেই তথ্য নিশ্চিত না হয়ে অনৈতিক ভাবে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড় করেছে ব্যাংক। একটি সংঘবদ্ধ চক্র অব্যাহতভাবে জনগণের রক্ষিত ব্যাংকের টাকা লুট করে যাচ্ছে। দেশ বিরোধী এই অপকর্ম অনতিবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।

রফিকুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জন, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দ্রুত অনুসন্ধান ও বিচারের দাবি জানিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর, বাংলাদেশ ফিনান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়।

ড. সূফি সাগর সামস বলেন, রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা রফিকও তার ছেলে মেহেদী হাসান দীপু, কাউসার আহমেদ অপু ও মালিহা হোসেন জোয়ার সাহারা, ভাটারা ও গুলশান মৌজার৩৩৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ জমিবন্ধক রেখে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা শাখা থেকে ২৭০কোটি ঋণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ভাটারা মৌজার ৪টি প্লটে রফিকুল ইসলামের বিক্রি করে দেওয়া ৯৩দশমিক ৮৭ শতাংশ জমিও রয়েছে।

তিনি বলেন, রফিকুল ইসলামের ভাটারা মৌজার ই ব্লকের ৪৮২, ৪৮৩, ৪৮৪, ৪৮৭, ৪৮৮ও ৪৮৯ প্লটের ২৮দশমিক ১৩ শতাংশ, ৫০৭, ৫০৮, ৫১১ ও ৫১২প্লটের ১৫ দশমিক ৫৩শতাংশ, ৫৩০, ৫৩১, ৫৩২, ৫৩৩, ৫৩৪ ও ৫৩৫প্লটের ২২ দশমিক ৭০শতাংশ, ৫৫১, ৫৫২, ৫৫৬, ৫৫৭ ও ৫৫৮ প্লটের২৭ দশমিক ৫১ শতাংশ জমিরয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এইজমি ২০২২ সালের ১৮এপ্রিল সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিলেও রফিকুল ইসলাম তা পরিশোধ করে দেন একই বছরের ২৯সেপ্টেম্বর। এসব জমির মধ্যে৪৮২, ৪৮৩, ৪৮৪, ৪৮৭, ৪৮৮ ও ৪৮৯ প্লটের২৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ও৫৩০, ৫৩১, ৫৩২, ৫৩৩, ৫৩৪ ও ৫৩৫ প্লটের২২ দশমিক ৭০ শতাংশ আবুলকাশেম গংদের কাছে বিক্রি করেদেন রফিকুল ইসলাম। এ ছাড়া ২০২২সালের ২১ নভেম্বর ৫৫১, ৫৫২, ৫৫৬, ৫৫৭ ও৫৫৮ প্লটের ২৭ দশমিক ৫১শতাংশ জমি বিক্রি করেনইমরান করিমের কাছে। ২০২২ সালের ২৩ফেব্রুয়ারি তামান্না সুলতানার কাছে ৫০৭, ৫০৮, ৫১১ ও ৫১২ প্লটের১৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ জমিবিক্রি করে দেন রফিকুলইসলাম। এ ছাড়া আবুলকাশেম গংদের মালিকানাধীন ২৮ দশমিক ১৩শতাংশ এবং তামান্না সুলতানারনামে ১৫ দশমিক ৫৩শতাংশ জমির মালিকানা পরিবর্তনহয়েছে চলতি বছরের ৩১জানুয়ারি। এ ছাড়াও আবুলকাশেম গংদের মালিকানাধীন ২২ দশমিক ৭০শতাংশের আরেকটি প্লটের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে চলতি বছরের ১৯মার্চ।

ড. সূফি সাগর সামস বলেন, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, বসুন্ধরা শাখা অবৈধভাবে ঋণ দেওয়া জমিতে বর্তমানে অন্য কোম্পানি ও মালিকের সাইনবোর্ড ঝুলছে।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads